Wellcome to National Portal
Main Comtent Skiped

অফিস সম্পর্কিত

সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন কর্মসূচী (সিভিডিপি)


পটভূমি:

    ষাটেরদশকে ড. আখতার হামিদ খানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়নএকাডেমী (বার্ড), কুমিল্লা কর্তৃক উদ্ভাবিত ‘দ্বি-স্তর সমবায়’ ব্যবস্থাএদেশেরসমবায়আন্দোলনে নতুন মাত্রা সংযোজন করতে সক্ষম হয়।দ্বি-স্তরবিশিষ্টসমবায়েরমাধ্যমে গোড়াতেই গ্রামের সামগ্রিক উন্নয়নের কথা বলাহয়।কিন্তুতৎকালীনপাকিস্তান সরকারের প্রাধিকার অনুযায়ী ‘অধিক খাদ্য ফলাও’ নীতিবাস্তবায়নেসমিতিগুলো কৃষক সমবায় সমিতি হিসেবে গড়ে উঠে।ফলেগ্রামবাসীদেরউল্লেখযোগ্যঅংশই সংগঠনের সুবিধা বহির্ভৃত থেকে যায়। এঅবস্থাথেকেউত্তরনের লক্ষ্যেপরবর্তীতে গ্রামে গ্রামে মহিলা ও বিত্তহীন (পুরুষ/মহিলা)সমবায় সমিতি গড়েউঠে। তাছাড়াও বেসরকারী সংস্থাসমূহেরউদ্যোগেগড়ে উঠেঅসংখ্য অনানুষ্ঠানিক দলবা সমিতি। ফলে গ্রামে নানাবিধ গ্রামসংগঠনগঠনেরপ্রেক্ষিতে একটি গ্রামকেবহুদল/উপদলে বিভক্ত করা হয়েছে, গ্রামেরসংহতিবাএকতাবদ্ধতার বদলে দেখাদিয়েছে দলাদলি, সাম্যের বদলে দেখা দিয়েছেঅসাম্যএবংআর্থিক স্বনির্ভরতারস্থলে লক্ষ্য করা গেছেসাহায্যনির্ভরপরনির্ভরশীলমানসিকতা।

 

সিভিডিপি’র মূল শক্তির উৎস হলোসমবায়েরসংহতি। এদেশেপ্রাতিষ্ঠানিকভাবে ১৯০৪ সালে সমবায় আইনের মাধ্যমেসমবায়আন্দোলন সূচীত হয়।প্রথমত: একটি আর্থিকপ্রতিষ্ঠান হিসেবে এর উদ্ভব ঘটে।১৯৫৯ সালে বার্ডপ্রতিষ্ঠার পর ষাটের দশকেগ্রাম অঞ্চলে বিরাজিতসমস্যাগুলোচিহ্নিত করে উহাসমাধানের অগ্রাধিকার নির্ণয়করা হয়। এ অগ্রাধিকারকর্মসূচীরঅন্যতমকার্যক্রম হিসেবে বিরাজমান আর্থিকপ্রতিষ্ঠান সমবায়েরপাশাপাশি ‘দ্বি-স্তরসমবায়’ কার্যক্রম চালু করা হয়। দ্বি-স্তর সমবায়ে কৃষক, মহিলা ওবিত্তহীনদেরসম্পৃক্ত করার সুযোগ থাকলেও গ্রামেরভূমিহীন ও বর্গাচাষীদেরবিপুল সংখ্যকজনগোষ্ঠী এ কার্যক্রমের বাহিরে থেকেযায়। মূলত: বার্ডকর্তৃকনির্ণীত ১০টিঅগ্রাধিকার কর্মসূচীর প্রথম, দ্বিতীয়, সপ্তম, অষ্টম ওদশমঅবস্থানেযথাক্রমে, গ্রামে মজবুত সংগঠন সৃষ্টি, ব্যক্তিগতও সমষ্টিগতপূঁজিসৃষ্টি, অকৃষিখাতে ভূমিহীন শ্রমিকদের জন্য কর্মসংস্থানসৃষ্টি এবংসরকারেরসেবাগ্রামে পৌছানোর কার্যকর পদ্ধতি উদ্ভাবন এর বিষয়উল্লেখথাকলেওকার্যত:বার্ড ও ৭১ পরবর্তী সরকারের কার্যক্রমেএকমাত্রবিআরডিবিপ্রতিষ্ঠাব্যতিরেকে সাব্যস্ত অগ্রধিকারের বিপরীতেউল্লেখযোগ্যকোনকার্যক্রম গ্রহণকরা হয়নি। কার্যত: কুমিল্লা মডেলেরচূড়ান্তঅর্জনেরক্ষেত্রে উপরোক্তঅগ্রাধিকারসমূহ বাস্তবায়নে অপারগতাকে একটিমিসিংলিংকহিসেবে গন্য করা যায়।কুমিল্লা মডেলের উক্ত মিসিং লিংকটিপূরনেরজন্যবাংলাদেশ পল্লী উন্নয়নএকাডেমী (বার্ড)১৯৭৫ সাল থেকে এক গ্রাম একসংগঠনএধারণা পরীক্ষার লক্ষ্যে “সার্বিক গ্রাম উন্নয়ন প্রকল্প (টিভিডিপি)” এরমাধ্যমে কাজ শুরু করে।পর্যায়ক্রমে প্রকল্পটি বার্ড তারনিজস্বসম্পদেরমাধ্যমে ১৯৮৮ সাল পর্যন্তস্বল্প পরিসরে পরিচালনা করে এবংএটিপরবর্তীতে“সার্বিক গ্রাম উন্নয়নকর্মসূচী  (সিভিডিপি)” নামে বাংলাদেশসরকারেরতৃতীয়পঞ্চ বার্ষিকপরিকল্পনার আওতায় জানুয়ারি ১৯৮৯ থেকে জুন ১৯৯১ সালপর্যন্তপ্রকল্পের প্রথমপর্যায় বাস্তবায়িত হয়। দ্বিতীয়পর্যায়েসরকারেরউচ্চপর্যায়ের মূল্যায়নেরপরিপ্রেক্ষিতে চতুর্থ পঞ্চ বার্ষিকপরিকলপনায় (১৯৯১-৯৬) প্রকল্পটিঅন্তর্ভৃক্ত করা হয় এবং বার্ড, কুমিল্লা ওআরডিএ, বগুড়া যৌথভাবেবাস্তবায়নশুরু করে। পরবর্তীতে পরীক্ষামূলক প্রকল্পটিতৃতীয়পর্যায়েপাইলাটিং করারজন্য একই অবয়বে জুলাই১৯৯৬ থেকে জুন ১৯৯৯ পর্যন্তচালু রাখাহয়। ১৯৯৮ সালে পরীক্ষামূলক প্রকল্পটি সরকার কর্তৃক গঠিতউচ্চপর্যায়েরমূল্যায়নকমিটির মাধ্যমে মূল্যায়নপূর্বক এটিকে পল্লী উন্নয়নেরসফলমডেল বলেচিহ্নিতকরে দেশব্যাপী সম্প্রসারণের উদ্যোগ গ্রহনেরজন্যসুপারিশকরে।